ক্লান্তি দূর করার ব্যায়াম | প্রতিদিন কি ব্যায়াম করা উচিত | ঘরে ব্যায়াম করার নিয়ম
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, bdback.com এর আরো একটি নতুন আর্টিকেলে আপনাকে অভিনন্দন। এই ব্লগে ক্লান্তি দূর করার ব্যায়াম, প্রতিদিন কি ব্যায়াম করা উচিত এবং ঘরে ব্যায়াম করার নিয়ম এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কথা বলবো।
ব্যায়াম আমাদের জীবনের আবশ্যক একটি বিষয়। সকলের প্রতিদিন অনন্ত আধা ঘণ্টা সময় নিজের শরীরের জন্য খরচ করা উচিত। কেননা, নিয়মিত ব্যায়াম করা ছাড়া সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব নয়।
ক্লান্তি দূর করার ব্যায়াম
সকল ব্যায়ামই ক্লান্তি দূর করে। আপনি যে ব্যায়ামই করবেন তাতেই আপনার ক্লান্তি হ্রাস এবং মানসিক শান্তি বৃদ্ধি পাবে এটি বৈজ্ঞানিক ভাবে একাধিক বার প্রমানিত।তবে, আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে সাইকেলিং এবং যোগ ব্যায়াম করতে বলবো। কারণ, সাইকেলিং ও যোগ ব্যায়াম যদি আপনি একসাথে করেন তাহলে আপনার ক্লান্তি দূর হবে এবং মানসিক ভাবে শান্তি পাবেন।
সাইকেলিং এর সাথে কয়েকটি পুশ আপ দিতে পারেন এতে করে আপনার ক্লান্তি সম্পূর্ণ রূপে দূর হবে। যদি আপনার আসেপাশে সুইমিংপুল বা পুকুর থাকে তাহলে আপনি সুইমিংও করতে পারেন।
এছাড়াও, ক্যালোরি বার্ন হয় এরকম যেকোনো ব্যায়াম করতে পারেন তাতে আপনার ক্লান্তি দূর হবে। এখন আসি যোগ ব্যায়াম সম্পর্কে। মানসিক শান্তি সহ যোগ ব্যায়মের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।
যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা
যোগ ব্যায়াম সাধারণত মনের শান্তির উদ্দেশ্য করা হয়। তবে, যোগ ব্যায়াম শরীর, মন এবং আত্মার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।ডাম্বেল দিয়ে ব্যায়াম করার নিয়ম
যোগ ব্যায়ামের ফলে ঘাড় ব্যাথা, বাত ব্যাথা, ব্যাক পেইন, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস, মেরুদণ্ডের সমস্যা, হাঁপানি, গ্যাস্টিক, ঘুমের সমস্যা সহ মন এবং শরীরের ভারসাম্যও বজায় থাকে।এছাড়াও, যোগ ব্যায়ামের আরো যা উপকারিতা রয়েছে তা হলো: এটির ফলে মস্তিষ্কের সৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়, দীর্ঘক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখা যায়, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর হয় এবং ক্লান্তি দূর করা যায়।
প্রতিদিন কি ব্যায়াম করা উচিত
ক্লান্তি দূর করার ব্যায়াম সম্পর্কে তো জানলাম এখন জানবো প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত কিনা সেটা সম্পর্কে। সত্যি কথা বলতে কোন ব্যায়াম থেকে তার সবটুকু উপকারিতা পেতে প্রয়োজন ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।ব্যায়ামের উপকারিতা পেতে আমাদের প্রতিদিন অবশ্যই একটি নিদিষ্ট সময়ে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা উচিত। যদি সম্ভব হয় তাহলে একটি জিমে ভর্তি হতে পারেন।
আর যদি জিমে ভর্তি হওয়া সম্ভব না হয় তাহলে প্রতিদিন অনন্ত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দৌড়ানো বা জোরে হাঁটা, পুশ আপ, সাইকেলিং, সুইমিং সহ অনন্য ব্যায়াম করতে পারেন। এতে আপনি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন।
ঘরে ব্যায়াম করার নিয়ম
অনেক ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো ঘরে থেকেই করা যায়। অনেকে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ব্যায়াম করতে বাহিরে যেতে পারে না।- পুশ আপ (Pushup)
- জাম্পিং জ্যাক (Jumping Jacks)
- এক্সটেন্ডেড প্লাঙ্ক আপ (Extended Plank Ups)
- সোলডার ট্যাপ (Shoulder Taps)
- সুপারম্যান (Supermans)
- মাউন্টেন ক্লামবার (Mountain Climbers)
- নি জাম্প (Knee Jumps)
- লব্জ স্টেপ ব্যাক (Lunge Step Backs)
- রাইচ নি টু হিপ আপ (Raise Knee to Hip Up)
- সাইড প্লাঙ্ক রাইচ (Side Plank Raise)
- ফ্রগ জাম্প (Frog Jumps)
- টুইস্ট (Twists)
- স্কুয়াট জাম্প (Squat Jumps)
উপসংহার
ব্যায়াম সম্পর্কে আমাদের এই ব্লগটি আপনার কি ভালো লেগেছে বা আপনি কি এটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন? ব্লগটি সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আমাদের কমেন্ট করে জানান। কারণ, এটি আমাদের সার্ভিসের মান আরো উন্নত করতে অনেক সহায়তা করে। এই সম্পর্কিত আমাদের আরো আর্টিকেল