কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ | হাইব্রিড কোয়েল পাখি | কোয়েল পাখি পালন প্রশিক্ষণ
কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ, হাইব্রিড কোয়েল পাখি এবং কোয়েল পাখি পালন প্রশিক্ষণ সহ কোয়েল পাখি সম্পর্কিত আরো অনেক তথ্য প্রদান করবো এই ব্লগে।
কোয়েল পাখি দিন দিন জনপ্রিয় হওয়ার সাথে সাথে এর সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আমাদের bdback.com এর ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে কোয়েল পাখি সম্পর্কিত অনেকগুলো ব্লগ পাবলিশ করেছি।
আজকের এই ব্লগেই আমরা কোয়েল পাখি সম্পর্কে কিছু কমন বিষয়ে জানবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।
কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ
কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার আগে অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কোয়েল পাখি ডিম দেওয়ার সময় হয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
কোয়েল পাখি ডিম দেয় মূলত এর ওজনের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, যত দ্রুত ওজন আসবে আপনার কোয়েল পাখি তত দ্রুত ডিম দিবে। সুতরাং, কোয়েল পাখির ডিম পাড়ার মূল লক্ষণ হলো এর ওজন।
আপনি যদি আপনার পাখিকে দ্রুত ডিমে আনতে চান তাহলে আপনি 'সোনালি স্টার্টার ফিড' এটি খাওয়াতে পারেন। কারণ, এই ফিড দিলে আপনার পাখি দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং ডিমে আসবে।
বাংলাদেশে ডিমের জন্য যে কোয়েলের জাতটি পালন করা হয় অর্থাৎ জাপানিজ কোয়েল পাখি, এরা সাধারণত ১৩০ থেকে ১৪০ গ্রাম ওজনের মধ্যেই ডিম দেওয়া শুরু করে।
হাইব্রিড কোয়েল পাখি
হাইব্রিড কোয়েল পাখি সম্পর্কে আমাদের অনেক প্রশ্ন থাকে তার মধ্যে দুটি প্রশ্ন হলো হাইব্রিড কোয়েল পাখি কি এবং হাইব্রিড ও জাপানিজ কোয়েলের মধ্যে পার্থক্য কি! চলুন এখন এই দুটি প্রশ্নের উত্তর জেনে নেয়।
হাইব্রিড কোয়েল পাখি কি
হাইব্রিড হলো কোয়েল পাখির একটি জাতের নাম এবং হাইব্রিড কোয়েল পাখি মূলত মাংসের জন্য পালন করা হয়। কারণ, এরা আকার এবং ওজনে তূলনামূলক বেশি হয় অল্প সময়ের মধ্যে।
হাইব্রিড এবং জাপানিজ কোয়েলের মধ্যে পার্থক্য কি
হাইব্রিড হলো মাংশের জন্য এবং জাপানিজ হলো ডিমের জন্য এই পার্থক্যটি এই দুটি জাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য।
হাইব্রিড কোয়েলের ডিমের পার্সেন্ট হলো ৫০ শতাংশ কিন্তু জাপানিজ কোয়েলের ডিমের পার্সেন্ট হলো ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। তবে, হাইব্রিড কোয়েলের ডিমের সাইজ তূলনামূলক বড় হয় জাপানিজের থেকে।
কোয়েল পাখি পালন প্রশিক্ষণ
সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশে এখনো কোয়েল পাখি নিয়ে সেরকম কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। তবে, আপনি চাইলে কোয়েল পাখি সম্পর্কিত বিভিন্ন ইউটিউব চ্যালেন ফলো করতে পারেন।
বাংলাদেশের এরকম অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যারা শুধুমাত্র কোয়েল পাখি নিয়েই ভিডিও বানিয়ে থাকে। আপনি তাদেরকে ফলো করুন এবং সেখান থেকে কোয়েল সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করার চেষ্টা করুন।
কোয়েল পাখি কি উড়তে পারে
কোয়েল যেহেতু এক ধরনের পাখি সুতরাং এরা উড়তে পারে৷ তবে এরা অন্য সব পাখির মত অনেক উচ্চতা দিয়ে উড়তে পারে না। কোয়েল ২ থেকে সর্বোচ্চ ৩ ফুট ওপর দিয়ে উড়তে পারে এবং এরা একসাথে অনেকক্ষণ ধরে উড়তে পারে না। এরা মূলত থেমে থেমে উড়ে।
কোয়েল পাখি কত বছর বাঁচে
কোয়েল পাখি কত বছর বাঁচে এটা সম্পর্কে আমরা কোন বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে তথ্য খুঁজে পায়নি। সুতরাং, কোয়েল কত দিন বাঁচে এটি সম্পর্কে আমরা কোন তথ্য দিতে পারছি না।
তবে, এরা সাধারণত ৮ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে তারপর আস্তে আস্তে ডিম দেওয়া কমিয়ে দেয় এবং ডিম দেওয়া বন্ধ করার পর এদের মাংসের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
দিনে কয়বার কোয়েলের খাদ্য গ্রহণ করা উত্তম
কোয়েলকে দিনে সাধারণত ৩ বার খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক খামারি দিনে দুই বার খাবার দেয় তবে কোয়েলের সকাল, দুপুর এবং রাত এই তিন বেলা খাদ্য দেওয়া উত্তম।
পরিশেষে আরো কিছু কথা
এই ব্লগে কোয়েল পাখি সম্পর্কে আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও, কোয়েল নিয়ে আমাদের পূর্বে আরো বেশকিছু ব্লগ লেখা আছে। আপনি চাইলে সেগুলো পড়তে পারেন। কোয়েল পাখি সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানান।