ভলিবল খেলার উপকারিতা | ভলিবল খেলার মাঠের মাপ | ভলিবল খেলার পয়েন্ট নিয়ম
হ্যালো বন্ধুরা, bdback.com এর ব্লগ ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমরা ভলিবল খেলার উপকারিতা এবং ভলিবল খেলার পয়েন্ট নিয়ম সহ ভলিবলের আরো বিষয় সম্পর্কে এই ব্লগে আলোচনা করবো।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভলিবল খুব প্রিয় একটি খেলার নাম। ভলিবল খেলার অনেক শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। ভলিবল খেলা শীতকালে বেশি খেলা হয় বাংলাদেশে।
এখন মানুষ ভলিবল খেলা সম্পর্কে গুগলেও অনেক বেশি সার্চ করে থাকে। কিন্তু আমি দেখলাম সেখানে ভলিবল খেলার উপকারিতা এবং এর পয়েন্ট নিয়ম সম্পর্কে সেখানে তেমন কোন পোস্ট নেই। তাই আপনাদের কথা মাথায় রেখে এই ব্লগটি লিখতে বসে গেলাম।
ভলিবল খেলার উপকারিতা
ভলিবল খেলার অনেক শারীরিক উপকারিতা রয়েছে এটি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। ভলিবল খেললে
আমাদের সমগ্র শরীরেরই ব্যায়াম হয়।
নিয়মিত ভলিবল খেলায় আমাদের শরীরের
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। আমাদের সম্পূর্ন শরীরের পেশী আগের থেকে আরো বেশি
শক্তিশালী হয়। ভলিবল খেলা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
কারণ, ভলিবল খেলার সময় আমাদের শরীর থেকে একটি বিশেষ হরমোন রিলিজ হয় যার জন্য
মানসিক ভাবে আরো বেশি ভালো লাগে এবং আমাদের কর্মজীবন আরো বেশি অ্যাকটিভ হয়।
এছাড়াও, অজানা আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এই ভলিবল খেলার।
ভলিবল খেলার পয়েন্ট নিয়ম
ভলিবল খেলার উপকারিতা সম্পর্কে তো জানলাম চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ভলিবল
খেলার পয়েন্ট নিয়ম সম্পর্কে। ভলিবল খেলার জয় পরাজয় কিভাবে নির্ধারণ হয় সেটি
জানলেই আপনি ভলিবলের পয়েন্ট নিয়ম নিয়ম সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পারবেন।
ভলিবল খেলায় ৫ সেট এর মাধ্যমে বিজয়ী দল নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ ৫ সেট খেলা হবে
এবং এর মধ্যে যে দল ৩ বা তার বেশি সেট জিতবে সেই দল হবে বিজয়ী। এখন অনেকের
প্রশ্ন সেট আবার কি জিনিস? আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন নিচে সেটিরও উত্তর দিয়েছে।
ভলিবল
খেলায় মোট পাঁচটি সেট রয়েছে সেটা তো আগেই বলেছি। কিন্তু, এই প্রতিটি সেট হতে
প্রয়োজন হয় ২৫ পয়েন্টের। অর্থাৎ, যে দল আগে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করবে সেই দল হবে
সেই সেটের বিজয়ী। একই ভাবে যে দল ৫ সেটের মধ্যে ৩ বা তার বেশি সেটে জিতবে সেই
দলই হবে বিজয়ী।
ভলিবল খেলার মাঠের মাপ
ভলিবল খেলার সম্পূর্ণ মাঠের দৈর্ঘ্য হলো ১৮ মিটার, যা আবার নেট দিয়ে ২ ভাগে
বিভক্ত থাকে। অর্থাৎ, নেটের একদিকের অংশে থাকে ৯ মিটার এবং অন্যদিকের অংশে থাকে
৯ মিটার। সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১৮ মিটার।
ভলিবলের প্রস্থ হলো ৯ মিটার। ছেলেদের জন্য মাটি থেকে নেটের উচ্চতা হবে ২.৪৩
মিটার এবং মহিলাদের জন্য ২.২৪ মিটার। এছাড়া, এই খেলার নেটের চওড়া হয় ১
মিটার।
ভলিবল খেলার ইতিহাস
ভলিবল খেলার ইতিহাস বলতে গেলে সবার আগে উইলিয়াম জি. মর্গান এর নামটি
বলতে হয় কারণ তিনে এই খেলার আবিষ্কারক। ১৮৯৫ সালে এই খেলাটির উৎপত্তি হয় এবং
তারপরের বছর অর্থাৎ ১৮৯৬ সালে এই খেলাটির নাম ভলিবল হিসাবে নামকরণ করা হয়।
তার আরো এক বছর পর অর্থাৎ ১৮৯৭ সালে এই খেলার আইনকানুন করা হয়। ১৯৪৭ সালে IVF
বা ইন্টারন্যাশনাল ভলিবল ফেডারেশন গঠিত হয় এবং ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ভলিবল
ফেডারেশন গঠিত হয়।
ভলিবল খেলার সময় কত মিনিট
ভলিবল খেলাতে ফুটবল খেলার মত নির্ধারিত ধরাবাঁধা কোন সময় সময় নেই। ভলিবল খেলা
হয় মূলত পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে এবং এই খেলায় ৫ সেটের মধ্যে যে দল বেশি বার
জিতবে সেই দল বিজয়ী হবে।
ভলিবল খেলার জনক কে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের বাসিন্দা উইলিয়াম জি. মর্গান ভলিবল
নামক খেলাটি ১৮৯৫ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিল। প্রথম দিকে এই খেলাটি
যুক্তরাষ্ট্রে চালু হলেও তা আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে ব্যপক ভাবে জনপ্রিয়তা
অর্জন করে।
ভলিবল খেলার উৎপত্তি কোন দেশে
ভলিবল খেলার উৎপত্তি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। ১৮৯৫ সালে
ভলিবল নামের এই খেলাটি আবিষ্কার হয়েছিল। এটির আবিস্কারক ছিলেন উইলিয়াম জি.
মর্গান নামক এক আমেরিকান ব্যক্তি।
ভলিবল খেলার মাঠের ছবি
অনেকে গুগলে ভলিবল খেলার মাঠের ছবি দেখতে চেয়ে সার্চ করেন। যারা ভলিবলের
মাঠের ছবি দেখতে চান তাদের জন্য উপরে একটি ছবি দেওয়া হয়েছে।
উপসংহার
ভলিবল নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেলটি যথাসম্ভব অর্থবহ করার জন্য আমরা প্রচন্ড ভাবে
চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে সেটা সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্ট
করে আমাদের জানান।
আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ভবিষ্যতে আমাদের আরো
ভালো কাজ করার জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।