ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার | ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার খরচ
হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমরা ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার, ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার খরচ সহ এই সংক্রান্ত অনন্য বিষয়ে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে, মূল আলোচনা শুরু করি।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার
ইন্ডিয়ার মানুষজন প্রশ্ন করেন যে, ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কোন কোন কুরিয়ার রয়েছে বা ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কোন কুরিয়ারের মাধ্যমে জিনিস পাঠানো যায়! ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে বেশকিছু কুরিয়ার তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের এসএ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিস, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস সহ বেশকিছু আন্তজার্তিক কুরিয়ার সার্ভিস ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার সার্ভিস দিচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিস এর মধ্যে রয়েছে FedEx, DHL, UPS ইত্যাদি।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার খরচ
চলুন এখন ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার খরচ সম্পর্কে জানি। ৫০০ গ্রামের বা তার নিচে ওজনের পার্সেল ১,৮৪০ ইন্ডিয়ান রুপি। ১ কেজি বা তার কম ওজনের পার্সেল ২,৩০০ ইন্ডিয়ান রুপি। ২ কেজি ৩,১৪০ ইন্ডিয়ান রুপি।
আড়াই কেজি ওজনের পার্সেল ৩,৬৫৩ ইন্ডিয়ান রুপি। ৩ কেজি ৪,০২৯ ইন্ডিয়ান রুপি। ৫ কেজি ৪ হাজার ৯৫৫ রুপি। ৬ কেজি ওজনের পার্সেল ৬ হাজার ২৭২ ইন্ডিয়ান রুপি। ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে পার্সেল আসতে আনুমানিক ৬ থেকে ১২ দিন সময় লাগে (রেগুলার)।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর উপায়
আপনি যদি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে চান তবে সেটির জন্য অনেক বৈধ উপায় রয়েছে। তবে, আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট এগুলোতে করে বাংলাদেশে ইন্ডিয়া থেকে সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন না।
তবে বিকাশের সাথে ইন্টারন্যাশনাল অনেক কোম্পানির পার্টনারশিপ রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে আপনি সরাসরি বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিকাশের সাথে পার্টনারশিপ রয়েছে এমন কিছু কোম্পানির নাম হলো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, ওয়াইজ এবং পেটিএম।
এছাড়াও, আপনি সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করেও ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। তবে, আপনি যদি Swift Code এর মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠান তবে, সেই টাকাটি বাংলাদেশে রিসিভ করতে একটু সময় লাগবে।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে পণ্য আনার উপায়
আপনি বেশ কয়েকটি উপায় এর মাধ্যমে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে আসতে পারেন। তারমধ্যে, একটি হলো সরাসরি আপনার পরিচিত জন যে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে আসবে তার মাধ্যমে আনতে পারেন।
দ্বিতীয় উপায় হলো, কুরিয়ার করে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে আসা এবং তৃতীয় উপায় হলো থার্ড পার্টি কোম্পানির মাধ্যমে পণ্য নিয়ে আসা। যেমন: backpackbang.com, ব্যাকপ্যাক ছাড়াও এরকম আরো অনেক কোম্পানি রয়েছে। যারা এই সার্ভিসটি দিয়ে থাকে।
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা
এখন ইন্ডিয়ার অনেক ই-কমার্স কোম্পানি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে পণ্য পাঠাচ্ছে। এবং আপনি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ইন্ডিয়ার যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। আর পেমেন্ট করতে হবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের মাধ্যমে। আর প্রডাক্ট আসবে কুরিয়ার করে।
ইন্ডিয়া থেকে পণ্য আমদানি
আপনি যদি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে ব্যাবসার জন্য পণ্য আনতে চান তাহলে আপনার বাংলাদেশ থেকে এলসি (LC) একাউন্ট খুলতে হবে। এবং LC এর মাধ্যমে আপনার ইন্ডিয়াতে পেমেন্ট করে পণ্য নিয়ে আসতে হবে।
ইন্ডিয়া থেকে বাইক আমদানি
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে যেকোনো পণ্য আমদানি করতে আপনার আমদানিকারক এর লাইসেন্স থাকা লাগবে এবং ব্যাংকে এলসি খুলতে হবে। এছাড়াও, ইন্ডিয়া থেকে বাইক আমদানি করার জন্য বাংলাদেশের আরো কিছু প্রচলিত আইন আছে। আপনাকে সেগুলোও মানতে হবে।
ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
যাদের ইন্ডিয়ার পাসপোর্ট আছে তাদের জন্য শুধুমাত্র ইউরোপ নয় সারা বিশ্বের ভিসা পাওয়াই সহজ। আপনি ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপের ভিসার জন্য আবেদন করলে খুব সহজেই অ্যাপ্রভাল হয়ে যাবে।
শেষ কথা
এই ব্লগে আমরা ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার, ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কুরিয়ার খরচ সহ ইন্ডিয়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছি। আপনার যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে সেটি আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে লিখে জানান।