ফোড়া পাকানোর ঔষধ | ফোড়া হলে কি করনীয় | ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
ফোড়া পাকানোর ঔষধ, ফোড়া হলে কি করনীয়, ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। সুতরাং, আপনারা যারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
অতি পরিচিত রোগগুলোর মধ্যে ফোড়া অন্যতম। বাংলাদেশের মানুষের তাই ফোড়া সম্পর্কে জানার আগ্রহও অনেক। আমরা চেষ্টা করছি ফোড়া সম্পর্কে আপনাদের সাধারণ ও ছোট ছোট প্রশ্নগুলো নিয়ে কাজ করতে এবং সেগুলোর সহজ উত্তর দিতে। তাহলে চলুন, আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ফোড়া পাকানোর ঔষধ
আপনারা ফোড়া পাকানোর ওষুধ হিসাবে আপনারা Viodine 5% Ointment এই মলম বা ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটিতে আছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী গুন যা আপনার ফোড়ার ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে সেটি থেকে সারিয়ে তুলতে আপনাকে সাহায্য করে।
আপনি যদি Viodine 5% Ointment নামক এই মলমটি ব্যবহার করতে চান তবে, প্রথমে ফোড়ার স্থানে সাবান পানি দিয়ে ধুতে হবে এবং গরম পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে। তারপর, Viodine 5% Ointment নামক এই ক্রিমটি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।
উক্ত ক্রিমটি উপরের নিয়মে ব্যবহার করলে আসা করি, আপনার ফোড়ার সমস্যা থেকে দ্রুতই মুক্তি পেতে পারবেন এবং আপনার ফোড়া পেকে যাবে। তবে, সবচেয়ে ভালো হবে যদি একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে পারেন।
ফোড়া হলে কি করনীয়
ফোড়া হলে আপনার সর্বপ্রথম যেটি করনীয় সেটি হলো ফোড়ায় আক্রান্ত স্থানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং আক্রান্ত স্থানটি সর্বদা পরিষ্কার রাখা। ফোড়ায় আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে এবং গরম পানির সেক দিতে হবে এতে করে আপনি অনেক আরামও পাবেন।
এছাড়াও, আক্রান্ত স্থানকে জীবাণুমুক্ত রাখতে আপনি Viodine 5% Ointment নামক এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এরপর, আপনাকে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।
ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় হিসাবে আপনি আক্রান্ত স্থানে সাবান পানি দিয়ে বার বার ধুতে পারেন, গরম পানির সেক দিতে পারেন এবং আক্রান্ত স্থানে খাঁটি নারকেলের তেল লাগাতে পারেন।
উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করার পর আপনাকে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে ফোড়া পাকছে কিনা! যদি পেকে যায় আলহামদুলিল্লাহ তবে, যদি না পাকে বা কোন সমস্যা হয় তাহলে দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে হবে।
আরো পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি হয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
ফোড়ার জন্য এন্টিবায়োটিক ক্রিম
সামনা-সামনি কোন ডাক্তার দেখানো ছাড়া কখনোই কোন এন্টিবায়োটিক ক্রিম বা ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। এতে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হতে পারে। তবে, আপনি চাইলে Viodine 5% Ointment এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে ফোড়া থেকে আরোগ্য লাভ করার সুযোগ রয়েছে।
ফোড়ার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম বাংলাদেশ
হোক ফোড়ার জন্য বা অন্য কোন কারণে কখনোই এন্টিবায়োটিক ঔষধ ডাক্তার না দেখিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এন্টিবায়োটিক ঔষধের ক্ষেত্রে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
নাহলে, পরবর্তীতে যেকোনো বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তবে, ফোড়া হলে Viodine 5% Ointment এই ক্রিমটি ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি অতন্ত্য কার্যকর একটি ক্রিম ফোড়ার সমস্যার জন্য।
বিষ ফোড়া হলে করনীয়
উপরে আমরা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি সেই সব বিষয়গুলো আপনি বিষ ফোড়ার ক্ষেত্রেও ফলো করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফোড়া হয় সাধারণত অপরিষ্কার থাকার জন্য এবং আপনাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমে এটিকে মোকাবিলা করতে হবে। কিভাবে করবেন সেটি তো উপরে বলাই আছে।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে ফোড়া পাকানোর ঔষধ, ফোড়া হলে কি করনীয়, ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় সহ আরো বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর সহজ ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে, আপনার যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে এখনো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে সেটি আমাদের কমেন্ট করে লিখে জানান।