ফোড়ার মলম এর নাম | ফোড়া পাকানোর মলম | ফোড়া হলে কি খাওয়া যাবে না
ফোড়ার মলম এর নাম, ফোড়া পাকানোর মলম এবং ফোড়া হলে কি খাওয়া যাবে না সহ ফোড়া সম্পর্কিত আরো বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর দিবো এই ব্লগে। ফোড়া খুব কমন একটি সমস্যা হওয়ার কারণে মানুষের এটি নিয়ে প্রশ্নও অনেক বেশি।
মানুষজন যেসকল প্রশ্ন করেন ফোড়া সম্পর্কে তার মধ্যে থেকে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে উপরের তিনটি প্রশ্ন সহ মোট আটটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। এটা ফোড়া সম্পর্কে আমাদের লেখা প্রথম ব্লগ।
আমরা ভবিষ্যতে ফোড়া সম্পর্কে আরো ব্লগ লিখতে চায় সুতরাং, আপনি এই ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন পরবর্তীতে আমাদের অনন্য আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য। তাহলে চলুন, আমাদের আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।
ফোড়ার মলম এর নাম
আপনি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং কিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে কোন মলম বা ঔষধ ছাড়াই আপনার ফোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে, আমি একটি ফোড়ার মলম এর নাম বলবো যেটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এই মলমটি আপনি দিনে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
তবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হয়। শুধু মলম ব্যবহার করলেই হবে না পুরোপুরি ভাবে ফোড়ার সমস্যা দূর করতে আপনাকে আরো কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো কি এবার চলুন সেটা সম্পর্কে জানি।
- আক্রান্ত যুক্ত স্থানে বার বার সাবান পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে।
- ফোড়ার স্থানে গরম পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে অথবা একটি কাপড় গরম পানির মধ্যে ডুবিয়ে সেটির সেক দিতে হবে।
- বার বার নক দিয়ে খোঁচানো যাবে না বা নিজে নিজে ফোড়া ফাটানোর চেষ্টা করা যাবেনা।
- সর্বশেষে Viodine 5% Ointment এই মলমটি ব্যবহার করতে হবে।
তবে, সবচেয়ে ভালো হয় যদি পারেন একজন ডার্মাটোলজিস্ট বা স্কিন এর ডাক্তার দেখাতে পারেন। যেকোনো উপজেলা শহরেও এখন ডার্মাটোলজিস্ট বা স্কিন এর ডাক্তার চেম্বার করে সুতরাং, আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না।
ফোড়া পাকানোর মলম
ফোড়ার মলম এর নাম এই সেকশনের মধ্যে আমরা যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বলেছি সেগুলো মেনে চললেই আপনি ফোড়া থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারবেন এবং আপনার ফোড়া পেকে যাবে। তবে, ফোড়া পাকানোর জন্য বেশকিছু এন্টিবায়োটিক ঔষধ রয়েছে যেগুলো আপনি একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখিয়ে গ্রহণ করতে পারেন।
ফোড়া হলে কি খাওয়া যাবে না
ফোড়া হলে খাওয়ার ক্ষেত্রে সেরকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ, আপনি সব কিছু খেতে পারবেন ফোড়া হলে। তবে, যাদের কোন খাবারে এলার্জি আছে এবং সেই খাবার গ্রহনের পরে চুলকানি শুরু হয় সেরকম খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকা ভালো হবে।
ফোড়া পাকানোর ঔষধ কি
আপনি যদি সঠিক নিয়মে ফোড়ার স্থানে সাবান পানি দিয়ে ধৌত করেন, গরম পানি ঢালেন এবং তালিকাভুক্ত মলমটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ফোড়া পাকানোর অন্য কোন ঔষধ আসা করা যায় প্রয়োজন হবে না। তবে, আপনি চাইলে একজন ডাক্তারের সাথে এই বিষয়টি সম্পর্কে পরামর্শ করতে পারেন।
ফোড়া হওয়ার কারণ কি
ফোড়া হওয়ার প্রধান কারণ হলো স্টাফালোলোকোক্কাস নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। স্টাফালোলোকোক্কাস নামের এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা যে ইনফেকশন এর সৃষ্টি হয় তাকে আমরা ফোড়া নামে জানি। আসা করি, ফোড়া কেন হয় সেটি সম্পর্কে আপনি এখন ক্লিয়ার।
লোম ফোড়া কি
লোম ফোড়া সাধারণত ফোড়ার একটি ধরন বা প্রকার। এটি সাধারণত মানুষের ত্বকে বাসা বাঁধে এবং প্রথম লাল বর্নের হয়। পরে তা ফোড়াতে বদলে যায় এবং আস্তে আস্তে সাদা রঙে রুপান্তরিত হতে শুরু করে।
ফোঁড়ার চিকিৎসা কি
ডাক্তাররা প্রথমে ফোঁড়ার চিকিৎসা হিসাবে বিভিন্ন মলম বা মেডিসিন ব্যবহার করে। মলম বা মেডিসিন ব্যবহারের পরে সাধারণত ফোঁড়ার সমস্যা সম্পূর্ণ ভাবে ভালো যায় তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে ফোঁড়ার চিকিৎসা হিসাবে অপারেশন লাগতে পারে।
বিষ ফোড়া হওয়ার কারণ কি
স্টাফালোলোকোক্কাস নামের একটি ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরের ত্বকে জন্ম নেয় এবং সেই ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের ইনফেকশন তৈরি করে। তারপর সেই ব্যাকটেরিয়া ও শরীরের কোষ তা পুঁজ এ রুপান্তরিত হয়ে সোয়েলিং শুরু হয় এবং এটি বাহিরে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করে আর এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে বিষ ফোড়া বলে।
শেষ কথা
ফোড়ার মলম এর নাম, ফোড়া পাকানোর মলম, ফোড়া হলে কি খাওয়া যাবে না সহ সর্বমোট এই সম্পর্কিত ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি bdback.com এই ব্লগে। আপনার যদি ব্লগটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন, মতামত বা পরামর্শ থাকে তাহলে তা কমেন্ট করে জানান।