রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম | রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট 2025 | রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম, রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট 2025 এবং রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সহ এই বিষয়ে আরো অনন্য তথ্য প্রদান করা হবে এই ব্লগে। রোমানিয়া সম্পর্কে এটি আমাদের দ্বিতীয় ব্লগ।
এর আগে আমরা রোমানিয়া সম্পর্কে আরো একটি ব্লগ লিখেছি সেটি আমি নিচে লিংক করে দিবো। আগের ব্লগে যে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি, আজকে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন, মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম
অনেকে গুগলে সার্চ করে জানতে চান যে, রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম কিভাবে পাওয়া যায় বা কিভাবে কি করতে হবে! মনে রাখবেন, অনলাইনে বিভিন্ন ভুয়া ওয়েবসাইট রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম পূরণ এর কথা বলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।
অনলাইনে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করা যায় বা ভিসা আবেদন ফরম পাওয়া যায় সেটি সম্পর্কে এই মূহুর্তে আমাদের কাছে কোন সুস্পষ্ট এবং বিশ্বস্ত তথ্য নেই। তবে, আপনি dip.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
উপরের ওয়েবসাইটটি হলো একটি সরকারি ওয়েবসাইট। রোমানিয়া সহ অনন্য দেশে যাওয়া সম্পর্কে আপনি উপরের ওয়েবসাইটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন এবং অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনি যদি একান্ত ভাবে রোমানিয়া ভিসা এর আবেদন করতে চান তবে, যেকোনো বিশ্বস্ত এজেন্সি এর সাথে যোগাযোগ করুন৷ অথবা, যদি আপনার কোন পরিচিত জন রোমানিয়া থাকে তার সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করুন। অথবা বিএমইটি ভবনে যোগাযোগ করুন।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট 2025
২০২৫ সালে এসে রোমানিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া তূলনামূলক একটু কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে, আপনি যেকোনো এজেন্সি বা বিএমইটি এর মাধ্যমে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি দক্ষ হন তাহলে আপনি ভিসা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, রোমানিয়া দক্ষতাকে অনেক বেশি প্রধান্য দেয়।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র এর ফটোকপি, পাসপোর্ট, পূর্বে ট্রাভেলের প্রমাণপত্র এবং পর্বের কাজের অভিজ্ঞতা সহ অনন্য কাগজপত্র লাগতে পারে।
রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
করোনা মহামারীর আগে পর্যন্ত ইন্ডিয়া থেকে রোমানিয়া যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে হত তবে এখন বাংলাদেশের বিএমইটি ভবনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে। রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বাংলাদেশে অসংখ্য এজেন্সি রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয় এর অধীনে এই এজেন্সি গুলো নিয়োগদাতাদের থেকে রোমানিয়ার ভিসা অ্যাপ্রুভাল করায় এবং তারপর তারা সার্কুলার প্রকাশ করে এবং সর্বশেষে রোমানিয়া পাঠাতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশে ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি এবং রিক্রুটিং এজেন্সি এই দুই ধরনের এজেন্সি রয়েছে। তবে, এদের কথা শুনে এদেরকে বিশ্বাস করা যাবে না। এজেন্সিদের লাইসেন্স নাম্বার এবং আর এল নাম্বার এই দুটি নাম্বার অবশ্যই থাকতে হবে।
এছাড়াও, আপনি বিএমইটি ভবন এর মাধ্যমে রোমানিয়া যাওয়া সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন এবং আপনি চাইলে সরাসরি তাদের মাধমেও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আমরা কোন এজেন্সি এর নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না।
বাংলাদেশের জন্য রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট
আপনি বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই বিএমইটি ভবনের মাধ্যমে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি বিভিন্ন এজেন্সি অথবা রোমানিয়া থাকে এরকম পরিচিত কারো মাধ্যমেই রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে
অনেকে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে সেটি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। এটি সম্পর্কে পুরোপুরি সঠিক ভাবে বলা কষ্টকর। এটি সাধারণত রোমানিয়াতে আপনি যে কোম্পানিতে ওয়ার্ক পারমিট পেতে আবেদন করছেন তাদের ওপর নির্ভর করে।
সাধারণত আনুমানিক ৩০ দিনের মত সময় লাগে রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে। তবে বলে রাখা ভালো যে, ৩০ দিন সময় এটি কোন অফিশিয়াল সময় নয়। সাধারণত যে রকম সময় লাগে সেটিই বললাম আমরা আপনাকে।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন ২০২৫
২০২৫ সালে কিভাবে রোমানিয়া ভিসা আবেদন করতে হয় সেটি সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই। আপনি বেশকিছু উপায়ে ২০২৫ সালে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যেমনঃ যেকোনো এজেন্সি এর মাধ্যমে, বিএমইটি এর মাধ্যমে এবং পরিচিত কারো মাধ্যমে।
সরকারি ভাবে রোমানিয়া ভিসা
সরকারি ভাবে আপনি যদি রোমানিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিএমইটি এর মাধ্যমে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বিএমইটি এর পূর্ন রুপ হলো জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
আপনি যদি বিএমইটি এর মাধ্যমে রোমানিয়া ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে সরাসরি আপনাকে বিএমইটি ভবনে দিয়ে তাদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
রোমানিয়া ভিসার দাম কত
রোমানিয়া সাধারণত ৪ ধরনের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায় সেগুলো হলো: টুরিস্ট, মেডিকেল, স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। তবে, রোমানিয়াতে সাধারণত স্টুডেন্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট এই দুটি ভিসায় বেশি যাওয়া হয় বাংলাদেশ থেকে।
রোমানিয়ার ভিসার আনুমানিক দাম হলো: টুরিস্ট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার, মেডিকেল ৪ লক্ষ টাকা, স্টুডেন্ট ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে, বিভিন্ন জিনিসের ওপর টাকার এই পরিমাণ নির্ভর করে।
রোমানিয়া ভিসা চেক
অনেকে রোমানিয়া ভিসা চেক করে কিভাবে সেটা জানতে চান। চলুন এখন রোমানিয়া ভিসা চেক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে আপনাকে romanian-companies.eu এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং আপনার ভিসার সিএমপি নাম্বারটি সেখানে ইন্টার করতে হবে।
তারপর আপনি আপনার কোম্পানির নাম দেখতে পারবেন। কোম্পানির নামের উপর ক্লিক করার পর আপনার ভিসা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আপনি দেখতে পারবেন।
উপসংহার
রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম, রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট 2025 এবং রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সহ রোমানিয়া সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছি আমাদের আজকের এই ব্লগে। আমাদের প্রদত্ত তথ্যগুলো পড়ে আপনার কেমন লেগেছে সেটি আপনি চাইলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।