আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে | আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে, আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে সহ আলসার সম্পর্কিত আরো অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর দিবো bdback.com এর এই আর্টিকেলে। সাধারণ মানুষের প্রচুর প্রশ্ন থাকে আলসার সম্পর্কে।
আমাদের এই সাইটে আমরা সাধারণ মানুষের আলসার সম্পর্কে সেই প্রশ্ন নিয়ে আর্টিকেল লিখছি। আলসার নিয়ে এটা আমাদের ষষ্ঠ আর্টিকেল। এর আগে আমাদের আরো পাঁচটি আর্টিকেল লেখা রয়েছে যেগুলো আমি নিচে লিংক করে দিবো। আপনি চাইলে সেগুলোও পড়তে পারেন।
আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে
অনেকে এখন প্রশ্ন করেন আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে কিনা এই বিষয়টি সম্পর্কে। এর সঠিক উত্তর হলো আলসার হলে লেবু খাওয়া যাবে না। কেন যাবে না চলুন সেটা জানি, লেবুতে এক প্রকার পদার্থ থাকে যেটির নাম হলো সাইট্রিক অ্যাসিড।
আর এই সাইট্রিক অ্যাসিড মানব শরীরের আলসার সৃষ্টিতে সহায়ক। সুতরাং, আপনার যদি আলসারের সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে লেবু খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের পুষ্টিকর উপাদান আলসার রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। সুতরাং, যারা প্রশ্ন করেন আলসারে ডিম খাওয়া যায় কি তাদের জন্য সঠিক উত্তর হলো: হ্যা যাবে।
মেথি খেলে কি আলসার ভালো হয়
মেথি খেলে কি আলসার ভালো হয় কিনা তার আগে চলুন জানি মেথিতে কি উপাদান থাকে। মেথিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। যা মানুষের শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করে। এছাড়া, মেথি আলসার ভালো করতেও সহায়তা করে।
আলসারের ঔষধ কতদিন খেতে হয়
আলসার ভালো হতে সাধারণত ৮ সপ্তাহের মত সময় লাগে। সুতরাং, আপনাকে মোট ৮ সপ্তাহের মত সময় ঔষধ খেতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে এবং লাইফস্টাইল মডিফিকেশন করতে পারেন তবে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি থেকে মুক্তি পাবেন।
আলসার হলে কি রুটি খাওয়া যাবে
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকলের মতে, আলসার রুগীদের জন্য রুটি খাওয়া অনেক উপকারী। সুতরাং, যাদের প্রশ্ন থাকে আলসার হলে রুটি খাওয়া যাবে কিনা বা রুটি খাবেন কি না তাদের জন্য সঠিক উত্তর হলো: হ্যা যাবে। তবে, আপনার যদি এই বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকে তাহলে একজন এমবিবিএস ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
আলসার কি জিনিস
আলসার মূলত এক ধরনের ঘা বা ক্ষত। যেটি মানুষের পরিপাকতন্ত্র বা খাদ্যথলির মধ্যে সৃষ্টি হয়। আলসার দুই ধরনের হয় একটি হলো গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং এবং অন্যটি হলো ডিওডিনাম আলসার।
গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডিনাম আলসারের মধ্যে প্রক্রিয়াগত পার্থক্য খুব কম। তবে, গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডিনাম আলসারের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো গ্যাস্ট্রিক আলসারে পেটের উপরের দিকে ব্যাথা হয় এবং ডিওডিনাম আলসারের ক্ষেত্রে পেটের যেকোনো একটি নিদিষ্ট অংশে ব্যাথা হয়।
শেষ কথা
আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে, আলসার হলে কি ডিম খাওয়া যাবে সহ আলসার সম্পর্কিত বেশকিছু প্রশ্নের খুব সহজ ভাবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে, আপনাদের যদি কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।