আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে | ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা
আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সহ আলসার সম্পর্কিত আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া এই ব্লগে। আলসার নিয়ে এখন মানুষ প্রচুর প্রশ্ন করেন গুগলে।
মানুষ আলসার সম্পর্কে সেসকল প্রশ্ন করেন আমরা সেই সকল বিষয়ে ব্লগ লিখতে শুরু করেছে আমাদের ওয়েবসাইটে। এটি আলসার সম্পর্কে আমাদের অষ্টম ব্লগ এবং এর আগে আমরা আরো সাতটি ব্লগ লিখেছি আলসার নিয়ে। সেগুলো নিচে লিংক করে দেওয়া হয়েছে।
আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে
আপনি যদি আলসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে এটি থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে কিছু নতুন খাদ্য যোগ করতে হবে আপনার খাদ্য তালিকায়। আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে সেটির একটি তালিকা নিচে দেওয়া হয়েছে।
আলসার হলে আপনি যে যে খাবারগুলো বেশি বেশি খাবেন সেগুলো হলোঃ লো ফ্যাট মিল্ক, অলিব অয়েল, রেগুলার ভেজিটেবল ওয়েল, ডিম, মাছ, আপেল, তরমুজ, রুটি, পেঁপে, কলা, সবুজ শাকসবজি, বাধা কপি, বাদাম জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
উপরের তালিকাভুক্ত খাবারগুলো আপনি খেতে পারবেন যদি আপনি আলসার আক্রান্ত ব্যক্তি হন এবং তালিকাভুক্ত খাবারগুলো খেলে আপনার আলসার থেকে মুক্তির সম্ভাবনা আরো অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা
ডিওডেনাল আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের মধ্যে খুব বড় পার্থক্য না থাকলেও ছোট ছোট পার্থক্য এই দুটি আলসারকে বিভক্ত করে রেখেছে। ডিওডেনাল এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের খাদ্য তালিকা প্রায় একই রকম।
উপরের তালিকাভুক্ত সকল খাবারই আপনি খেতে পারবেন তবে পাকা পেঁপে, বাধা কপি, পাকা কলা, ইসবগুলের ভুসি ইত্যাদি এই খাবারগুলো বেশি খেলে ভালো হবে।
আলসার কি জিনিস
আলসার মূলত একটা ঘা বা ক্ষত যেটা আমাদের খাদ্যথলি বা পরিপাকতন্ত্র এর মধ্যে বাসা বেঁধে ক্ষতি করতে থাকে। আলসার মূলত হয় Helicobacter Pylori নামের এক ধরনের ইনফেকশন এর কারনে। অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস এবং ধুমপান এর কারনে আলসার হতে পারে।
আলসার কত প্রকার ও কি কি
চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলসার মূলত ২ প্রকার যথাঃ গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার। গ্যাস্ট্রিক আলসারে পেটের উপরিভাগে ব্যাথা হয় এবং ডিওডেনাল আলসারে পেটের যেকোনো একটা নিদিষ্ট অংশে ব্যাথা হয়।
ডিওডেনাল আলসারের ক্ষেত্রে আপনি ব্যাথাটি কোথায় হচ্ছে সেটি হাত দিয়ে পয়েন্ট আউট করে দেখাতে পারবেন তবে গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে সেটি পারবেন না। এছাড়াও, আরো অনেক ছোট ছোট পার্থক্য রয়েছে গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসারের মধ্যে।
কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে গ্যাস্ট্রিক আলসার নামক রোগ হয়
আমরা উপরে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি কোন ব্যাকটেরিয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগ হয় তবে, আপনাদের সুবিধার্থে সেটি আবারো বলছি। আলসার হয় Helicobacter Pylori নামের একটি ইনফেকশন এর কারনে। যেটি মানুষের খাদ্যথলিতে ক্ষত বা ঘা এর সৃষ্টি করে।
Duodenal Ulcer কি
দুই প্রকারের আলসার হয় তারমধ্যে এক প্রকারের নাম হলো Duodenal Ulcer এবং আর একটির নাম গ্যাস্ট্রিক আলসার। Duodenal Ulcer এর ক্ষেত্রে পেটের যেকোনো একটি নিদিষ্ট জায়গাতে ব্যাথা হয় এবং খাওয়ার অনন্ত দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর থেকে ব্যাথা শুরু হয়।
আলসারের চিকিৎসা কি
ডাক্তারা সাধারণত দুই ভাবে আলসারের চিকিৎসা করে থাকে। একটি হলো ঔষধ এর মাধ্যমে এবং অন্যটি হলো লাইফস্টাইল মডিফিকেশন মাধ্যমে। বেশকিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ডাক্তার আপনাকে আপনার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে বলবে এবং কিছু খাবার যোগ করতে বলবে।
তবে, হ্যা মনে রাখবেন কোন রোগে হলে নিজে নিজে অথবা অনলাইনে দেখে চিকিৎসা বা ঔষধ সেবন করতে যাবেন না। কারণ, এটি আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেকোনো ঔষধ সেবনের আগে নূন্যতম একজন এমবিবিএস ডাক্তার অবশ্যই দেখাতে হবে।
উপসংহার
আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সহ আলসার বিষয়ে অনন্য প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে bdback.com এর এই ব্লগে। তবে, আপনার যদি এই ব্লগটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে কমেন্ট করতে পারেন।