আলসার হলে করণীয় কি | আলসার থেকে মুক্তির উপায় | গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত
আলসার হলে করণীয় কি, আলসার থেকে মুক্তির উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত সহ আলসার সম্পর্কিত আরো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে এই ব্লগে। আলসার কমন রোগ হওয়ায় এর সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নেরও শেষ নেই।
আলসার নিয়ে এটি আমাদের লেখা পঞ্চম আর্টিকেল। এর আগে আমরা আলসার সম্পর্কে আরো চারটি আর্টিকেল লিখেছি। সেগুলো আমি নিচে লিংক করে দিবো। আপনি যদি চান তাহলে আলসার সম্পর্কে আমাদের সেই আর্টিকেল গুলোও পড়তে পারেন। তাহলে, মূল আলোচনা যাওয়া যাক এখন।
আলসার হলে করণীয় কি
আলসার যেহেতু একটি রোগ সুতরাং আপনার যদি আলসার হয় তাহলে সর্বপ্রথম একজন ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী স্টেপ নিতে হবে। তবে অনেকে প্রশ্ন করেন, আলসার হলে কোন ডাক্তার দেখাবো সেটির উত্তরও নিচে দিয়েছি।
আলসার হলে কোন ডাক্তার দেখাবো
আলসার হলে আপনি একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবেন। তবে, যদি গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো সম্ভব না হয় তবে নূন্যতম একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাবেন।
এখন প্রায় সকল উপজেলা শহরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আউটডোরে পাঁচ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে খুব সহজেই একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে পারবেন।
আলসার থেকে মুক্তির উপায়
আলসারের চিকিৎসা যদি সঠিক সময় মত করা হয় তবে খুব অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আলসার থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আলসার থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে ডাক্তার দেখাতে হবে এবং ডাক্তারের কথা মত ওষুধ সেবন করতে হবে।
তবে মনে রাখবেন আলসার শুধুমাত্র ওষুধে ভালো হয় না। আলসার থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে আপনাকে ডাক্তারের কথা অনুসারে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। এটি আলসার থেকে মুক্তির জন্য বিশাল ভূমিকা পালন করে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত
গ্যাস্ট্রিক আলসার সহ যেকোনো আলসারে আপনাকে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা খুব বেশি জরুরি। গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং অনন্য আলসার হলে আপনি পাকা কলা, পাকা পেঁপে, বাধা কপি, এবং ইসবগুলের ভুসি এই খাবারগুলো বেশি করে খেতে পারেন।
আলসারে নতুন খাদ্য তালিকার থেকে খাদ্য বাদের তালিকার দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত সকলের। এরকম অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আপনাকে বাদ দিতে হবে সেই খাবারগুলো কি তা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না
আলসার হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে সেটার থেকে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না সেটা জানা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আলসার হলে আপনাকে জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড, দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরিকৃত খাবার, কফি, চানাচুর, বিস্কুট, চকলেট, চা, কেক ইত্যাদি এই খাবারগুলো বাদ দিতে হবে।
এছাড়াও, আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চেষ্টা করবেন যথাসম্ভব বাহিরের খাবার এড়িয়ে চলতে। যদি সম্ভব হয় তাহলে বাহিরের খাবার একবারেই গ্রহণ করা উচিত নয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
গ্যাস্ট্রিক আলসার সাধারণত হয়ে থাকে অনিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভ্যাস এর কারনে। যারা ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, এনার্জি ড্রিংক এগুলো বেশি পরিমানে খেয়ে থাকে তারা গ্যাস্ট্রিক আলসারে বেশি আক্রান্ত হয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির পূর্ব শর্ত হলো লাইফস্টাইল মডিফিকেশন এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন। এই দুটি জিনিসের সাথে ডাক্তারের পরামর্শে কিছু ঔষধ সেবন করলেই আপনি ৮ সপ্তাহের মধ্যেই গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পাবেন।
আরো পড়ুন: গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি হয়, গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষণ
গ্যাস্ট্রিক আলসার এর প্রধান লক্ষণ হলো পেটের উপরের অংশে ব্যাথা হওয়া। এছাড়াও, গ্যাস্ট্রিক আলসারে বদ হজম, বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া, পিঠের দিকে চাপ দিয়ে থাকা, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি।
গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়
গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সেটি আমরা ইতিমধ্যে বলেছি তবে আপনাদের সুবিধার্থে আবারো বলছি। গ্যাস্ট্রিক আলসার সাধারণত অনিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভ্যাস এর কারনে Helicobacter Pylori নামের একটি ইনফেকশন এর জন্য হয়ে থাকে। এছাড়াও, ধুমপান এর কারনেও গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে।
উপসংহার
আলসার হলে করণীয় কি, আলসার থেকে মুক্তির উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত সহ আলসার সম্পর্কিত আরো কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলে। আপনার যদি আলসার সম্পর্কে এখনো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানান।