আলসার কি ধরনের রোগ | আলসার কয় ধরনের | আলসার প্রতিরোধের উপায়

আলসার কি ধরনের রোগ | আলসার কয় ধরনের | আলসার প্রতিরোধের উপায়
আলসার কি ধরনের রোগ, আলসার কয় ধরনের এবং আলসার প্রতিরোধের উপায় সহ আলসার সম্পর্কে আরো অতিরিক্ত দুটি প্রশ্নের উত্তর দিবো bdback.com এর এই ব্লগে।

আলসারের সমস্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষজনের আলসার সম্পর্কে প্রশ্নও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে আমরা আলসার সম্পর্কে আরো ছয়টি আর্টিকেল লিখেছি। এটা আলসার সম্পর্কে আমাদের লেখা সপ্তম আর্টিকেল।

আলসার কি ধরনের রোগ

আলসার কি ধরনের রোগ | আলসার কয় ধরনের | আলসার প্রতিরোধের উপায়

আলসার হলো পেটের একটি ক্ষত বা ঘা এর রোগের নাম যেটি মানুষের পরিপাকতন্ত্র (খাদ্যথলি) এর মধ্যে বাসা বাঁধে। আলসার হওয়ার প্রধান কারণ হলো Helicobacter Pylori নামের একটি ইনফেকশন।

এই ইনফেকশন (Helicobacter Pylori) মানুষের পরিপাকতন্ত্র বা খাদ্যথলির মধ্যে একটি ঘা বা ক্ষত এর সৃষ্টি করে। যেটিকে আমরা আলসার নামে চিনি। আলসার মূলত অনিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভ্যাস এবং ধুমপান এর কারনে হয়ে থাকে। এছাড়াও, ছোট ছোট আরো অনেক কারণ রয়েছে আলসার হওয়ার পিছনে।

আলসার কয় ধরনের

আলসার কি ধরনের রোগ এবং কেন হয় এটা সম্পর্কে আসা করি সবাই সম্পূর্ণ ক্লিয়ার। এখন জানবো আলসার সাধারণত কয় ধরনের হয়ে থাকে সেটা সম্পর্কে। আলসার সাধারণত ২ ধরনের যথাঃ ডিওডিনাম আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার।

ডিওডিনাম আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের সম্পর্কে নিচে বিবরণ দেওয়া হয়েছে। চলুন, সেটা দেখে নেওয়া যাক।

ডিওডিনাম আলসার

ডিওডিনাম আলসারে সাধারণত মানুষ কম আক্রান্ত হয়। ডিওডিনাম আলসারের প্রধান লক্ষণ হলো এটি হলে পেটের যেকোনো একটি নিদিষ্ট অংশে ব্যাথা বা জ্বালা করে। ব্যাথা বা জ্বালা শুরু হয় খাদ্য খাওয়ার অনন্ত ২ ঘন্টা পর থেকে। এছাড়াও, আরো কিছু ছোট ছোট লক্ষণ রয়েছে ডিওডিনাম আলসারের।

গ্যাস্ট্রিক আলসার

গ্যাস্ট্রিক আলসারে বাংলাদেশের মানুষজন প্রচুর পরিমাণে আক্রান্ত হয়ে থাকে। গ্যাস্ট্রিক আলসারের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় কারণ হলো এটি হলে পেটের উপরিভাগে ব্যাথা করে এবং এই ব্যাথার কোন নিদিষ্ট জায়গা কিংবা সময় থাকে না।

আলসার প্রতিরোধের উপায়

আলসার খুব জটিল কোন রোগ না হলেও এটির সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে বড় বিপদের কারণ হতে পারে আমাদের জন্য। সুতরাং, সঠিক সময়ে আলসার প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এখন প্রশ্ন হলো আলসার প্রতিরোধের উপায় কি বা কিভাবে আলসার প্রতিরোধ করা যায়!

আলসার যেহেতু একটা রোগ সুতরাং, এটি প্রতিরোধে আপনাকে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। আলসার রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হলো গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট। তবে, যদি গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট দেখানো সম্ভব না হয় তাহলে নূন্যতম একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে হবে।

আর যেহেতু সমস্ত থানাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে সুতরাং, এমবিবিএস ডাক্তার দেখানো কঠিন কিছু নয়। আপনি মাত্র ৫ টাকার মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আউটডোরে এমবিবিএস ডাক্তার দেখাতে পারবেন। এছাড়াও, সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগনও থাকে।

আলসার কমানোর উপায়

আলসার কমাতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম যেসকল খাবারে আলসার হয় সেগুলো পরিহার করতে হবে। যেমনঃ ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতি মাত্রায় তৈলাক্ত বা মসলা দেওয়া খাবার, চা, কফি, বেকারি আইটেম ইত্যাদি।

উপরের  তালিকাভুক্ত খাবারগুলো আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। সেই সাথে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে এবং তার কথা মত ওষুধ সেবন করতে হবে।

আলসার থেকে বাঁচার উপায়

আমি আগেই বলেছি যে, আলসার কোন কঠিন রোগ নয় যদি এটি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা হয় তো। আপনার যদি আলসার হয় এবং আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসাটি গ্রহণ করেন তাহলে আপনি ৮ সপ্তাহের মধ্যেই এটি থেকে মুক্তি পাবেন।

অনেকে আলসার হলে অনেক বেশি ভয় পায় এবং তারা ভয়ে ডাক্তারে কাছে যান না তবে এটা করা একবারেই উচিত নয়। আলসার থেকে বাঁচার প্রধান এবং একমাত্র উপায় হলো সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে অবশ্যই যেতে হবে।

উপসংহার

আলসার কি ধরনের রোগ, আলসার কয় ধরনের এবং আলসার প্রতিরোধের উপায় সহ আলসার সম্পর্কে আরো অতিরিক্ত দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে আজকের এই ব্লগে। আপনার যদি আলসার সম্পর্কে অন্য কোন কিছু জানার থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে কমেন্ট করুন।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
পূর্বের আর্টিকেল দেখুন পরবর্তী আর্টিকেল দেখুন
এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি
মন্তব্য করুন
comment url
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল জয়েন করুন