গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় | আলসার কত দিনে ভালো হয়

আলসার কত দিনে ভালো হয় | গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়
আলসার কত দিনে ভালো হয়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায় সহ আলসার সম্পর্কিত আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে এই ব্লগে। আলসার এখন খুব কমন একটি রোগের নাম সেই জন্য আলসার সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নও অনেক বেশি থাকে।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইট bdback.com এ আলসার নিয়ে অনেকগুলো ব্লগ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছি। এর আগে আমরা আলসার সম্পর্কে আরো আটটি ব্লগ পাবলিশ করেছি এবং এটি আমাদের নবম ব্লগ আলসার সম্পর্কে। তাহলে, চলুন মূল আলোচনা শুরু করি।

আলসার কত দিনে ভালো হয়

আলসার কত দিনে ভালো হয় | গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়

আলসার খুব জটিল বা কঠিন রোগ না হলেও সময়মত এর সঠিক চিকিৎসা না করলে এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আলসার থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে মোটামোটি ৮ সপ্তাহের মত সময় লাগে।

আপনি যদি ডাক্তারের সব কথা মানেন তাহলে এটা বলাই যায় যে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন আলসার থেকে। সুতরাং, যারা প্রশ্ন করেন যে, আলসার কত দিনে ভালো হয় আসা করি তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হতে পেরেছেন।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কিভাবে দূর করা যায়

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় মূলত এক ধরনের আলসারের জন্য যার নাম হলো; গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং এই গ্যাস্ট্রিক আলসার সৃষ্টি হয় Helicobacter Pylori নামের একটি ইনফেকশনের জন্য।

Helicobacter Pylori নামের এই ইনফেকশন সৃষ্টির প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন। সুতরাং, আপনার খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এই দুটি জিনিসে আপনাকে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।

এছাড়াও, আপনাকে একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের কথা মত ওষুধ সেবন করতে হবে এবং জীবনযাত্রায় ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। খাদ্য তালিকা থেকে ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড এগুলো সম্পূর্ণ ভাবে বাদ দিতে হবে।

পেপটিক আলসারের লক্ষণ কি কি

যারা পেপটিক এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারকে আলাদা করে ফেলেন তাদেরকে বলছি পেপটিক আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার দুটো একই জিনিস। পেপটিক (গ্যাস্ট্রিক) আলসার হলে মূলত পেটের উপরিভাগে জ্বালা বা ব্যাথা অনুভূত হয়।

এছাড়াও মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, ঘুমের সমস্যা, বদ হজম হওয়া সহ আরো অনেক লক্ষণ দেখা দেয় পেপটিক আলসার হলে। সুতরাং, আপনার যদি এই লক্ষণগুলো থাকে তাহলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তার দেখান।

পেপটিক আলসারের প্রধান কারণ কি

পেপটিক আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারের প্রধান কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন ব্যবস্থা। আপনি যদি জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড, অতি তৈলাক্ত খাবার এবং বাহিরের খাবার বেশি মাত্রায় গ্রহণ করেন তবে, আপনার পেপটিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

এছাড়াও, যারা দীর্ঘদিন যাবত ধুমপান করছেন তাদেরও পেপটিক আলসারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এগুলো সব হলো পেপটিক আলসারের প্রধান কারণ। সুতরাং, আপনার যদি উপরের কোন একটি অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে সেটি এখনই বাদ দিয়ে দিন।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক আলসারে ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন। কারণ, এতে থাকে ব্যাকটেরিয়া বিরোধি গুণ যা দেহের ব্যাকটেরিয়া বিনাশ করতে সহয়তা করে। নারিকেলের দুধ এবং পানিতে এই প্রোবায়োটিক বিদ্যমান রয়েছে।

আলসারের এন্টিবায়োটিক ঔষধ

যারা এন্টিবায়োটিক ঔষধের খোঁজে এই ব্লগে এসেছেন তাদেরকে বলছি, অনলাইনে দেখে এন্টিবায়োটিক তো দূরের কথা সাধারণ কোন ওষুধও সেবন করবেন না। এতে আপনার উপকারের থেকে অপকারই বেশি হবে। সব সময় ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ সেবন করবেন। কারণ, একজন ডাক্তার আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে আপনাকে ওষুধ দিবে।

উপসংহার

আলসার সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি bdback.com এর আজকের এই ব্লগে। আমরা এই ব্লগটি সম্পর্কে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানতে চায়। কারণ, আপনাদের মতামত আমাদের সার্ভিসের মান ভবিষ্যতে আরো বেশি ভালো করতে সহয়তা করে।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
পূর্বের আর্টিকেল দেখুন পরবর্তী আর্টিকেল দেখুন
এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি
মন্তব্য করুন
comment url
আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল জয়েন করুন