ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা, রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
হ্যালো বন্ধুরা, bdback.com এর নতুন একটি লাইফস্টাইল আর্টিকেলে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগ ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা, রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন আজকের মূল আলোচনা শুরু করি।
ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা
আমাদের মধ্যে অনেকে ডিওডেনাল আলসার রোগে ভুগছেন এবং তারা তাদের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন করেন। ডিওডেনাল আলসার ভুক্তভোগীকে সর্বপ্রথম অতিরিক্ত তৈল এবং মসলা জাতীয় খাবারগুলো তার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
এছাড়াও, আপনাকে আপনার খাবার তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারগুলো সম্পূর্ণভাবে বাদ দিতে হবে।
অনেকের দুধ খেলে তাদের আলসারের প্রবনতা বৃদ্ধি পায় সুতরাং, যাদের দুধ বা দুধ থেকে তৈরিকৃত খাবার খেলে আলসারের সমস্যা হয় তাদের এই জাতীয় খাবারগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
এতক্ষণ আমরা কোন কোন খাবারগুলো কম খাবেন সেটি সম্পর্কে বললাম এখন বলবো ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বা কোন কোন খাবারগুলো আপনাকে বেশি পরিমানে খেতে হবে সেটি সম্পর্কে।
আলসার মূলত তৈরি হয় Helicobacter Pylori নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে এবং আপনাকে এমন সকল খাবার খেতে হবে যেগুলো এই ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেসকল খাবারগুলো বেশি করে খাবেন সেগুলো হলো: ফুলকপি, গাজর, মুলা, বাঁধাকপি, চেরি, স্ট্রবেরি, আপেল, সবুজ শাকসবজি, জলপাই, মধু, টকদই, মুরগির মাংস, ডিম, মাছ ইত্যাদি।
ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণ
আমাদের ব্লগের এই পর্যায়ে আমরা ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণগুলো কি কি এবং ডিওডেনাল আলসার হলে কি হয় সেই বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলবো। ডিওডেনাল আলসারে মূলত পাকস্থলীর পরের বা শেষের অংশে ঘা বা ক্ষত এর সৃষ্টি হয়।
ডিওডেনাল আলসারে মূলত পেটের যেকোনো একটি নিদিষ্ট অংশে ব্যাথা হয় যেটি আপনি হাত দিয়ে নির্ধারণ করতে পারবেন। ডিওডেনাল আলসারে খাবার খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পর থেকে পেটে ব্যাথা বা জ্বালাপোড়া শুরু হয়।
সাধারণ আলসারে যেকোনো সময় বা সব সময় ব্যাথা বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয় তবে, ডিওডেনাল আলসারে যেকোনো একটি নিদিষ্ট সময়ে বা নিদিষ্ট সময় পর পর ব্যাথা হয়। এছাড়াও, মধ্যরাতে ডিওডেনাল আলসারের ব্যাথা হতে পারে।
সর্বশেষ ডিওডেনাল আলসারের লক্ষণ হলো ওজন বৃদ্ধি। ডিওডেনাল আলসারে সাধারণত ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার একটা প্রবনতা থাকে এবং গ্যাস্ট্রিক আলসারে ওজন কমে যাওয়ার প্রবনতা থাকে।
ডিওডেনাল আলসারের চিকিৎসা
আপনার যদি ডিওডেনাল আলসার হয় বা আপনি যদি ডিওডেনাল আলসারের সমস্যায় পড়েন তবে, দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব সর্বনিম্ন একজন এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
অনেকে অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে কিংবা আর্টিকেল পড়ে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করেন। যেটি করা একদমই উচিত নয়। শুধুমাত্র, একজন রিজিস্ট্রাড ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে যেকোনো ঔষধ সেবন করবেন।
শেষ কথা
এই ব্লগটিতে ডিওডেনাল আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা, রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের যদি এই ব্লগটি ভালো লাগে তবে, এটি আপনার বন্ধুদের সাথে এটি শেয়ার করুন।