গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ | গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি হয় | গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
বন্ধুরা, আপনাদের সকলকে bdback.com এর আরো একটি নতুন ব্লগে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি হয় এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, গ্যাস্ট্রিক আলসারের কিছু গুরুতর লক্ষণ হলো: গলা বুক জ্বালাপোড়া করা, বমি বমি ভাব, ঠিকঠাক পায়খানা না হওয়া, মুখে টক টক লাগা, মাথা ঘোরানো, পেট ফাঁপা, ঘুমের সমস্যা, খাওয়ার চাহিদা কমে যাওয়া ইত্যাদি।
তবে, সবার ক্ষেত্রে উপরের সবগুলো লক্ষণ না থাকলেও গ্যাস্ট্রিক আলসার আক্রান্ত ব্যক্তির উপরের বেশিরভাগ লক্ষণগুলো থাকবে। বিশেষ করে গলা বুক জ্বালাপোড়া করা, বমি বমি ভাব এবং পেট ফাঁপা এগুলোর সমস্যা গ্যাস্ট্রিক আলসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি হয়
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি কি সমস্যা হয় সেটি উপরে ইতিমধ্যে বলেছি। তবে আপনাদের সুবিধার্থে আবারো বলছি, গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে মূলত গলা বুক জ্বালাপোড়া করা, বমি বমি ভাব, মুখে টক টক লাগা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যাগুলো গুজরত ভাবে দেখা দেয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়
গ্যাস্ট্রিক আলসার সৃষ্টির মূল কারণ হলো Helicobacter Pylori নামের একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এই Helicobacter Pylori নামের ব্যাকটেরিয়া যখন মানব শরীরের পাকস্থলী (Stomach) এর মধ্যে ঘা বা ক্ষতের সৃষ্টি করে তখন তাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার বলা হয়।
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির জন্য সর্বপ্রথম আপনার খাবারে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। যেমন: অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, অতিমাত্রার মসলা যুক্ত খাবার এবং ভাজাপোড়া এগুলো আপনার খাবার তালিকা থেকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে হবে।
তারপর, নিজে নিজে চিকিৎসা না করে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং তার পরামর্শ মতো ঔষধ সেবন করুন। গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তি পেতে আপনার ৮ সপ্তাহের মত সময় লাগতে পারে।
মনে রাখবেন, কখনো রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কোন ঔষধ সেবন করবেন না। এটি উপকারের বিপরীতে আপনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
উপসংহার
এই ব্লগের সমস্ত বিষয়গুলো বিভিন্ন রেজিস্টার্ড ডাক্তারদের দ্বারা স্বকৃত। ব্লগটি শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। অনলাইন দেখে যেকোনো চিকিৎসা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, শুধুমাত্র একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারই আপনাকে ঔষধ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।