ফ্রান্স শবে মেরাজ কবে ২০২৫ | ফ্রান্স শবে মেরাজ কত তারিখে 2025
শবে মেরাজ মুসলমানদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় রাত, যেটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঐতিহাসিক মিরাজ যাত্রার স্মরণে পালিত হয়।
এই রাতে তিনি আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেন এবং উম্মতের জন্য নামাজের বিধান নিয়ে আসেন। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমরা এই রাতটি গভীর ধর্মীয় অনুভূতির সাথে উদযাপন করেন।
ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলমানদের জন্যও শবে মেরাজ একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাত। চলুন জেনে নিই ২০২৫ সালে ফ্রান্সে শবে মেরাজ কবে পালিত হবে।
ফ্রান্স শবে মেরাজ কবে ২০২৫
পবিত্র শবে মেরাজ ইসলাম ধর্মের এক বিশেষ রাত, যেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন করেছিলেন। ২০২৫ সালে ফ্রান্সে শবে মেরাজ পালিত হবে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ২৬ জানুয়ারি, যা হিজরি ক্যালেন্ডারের ১৪৪৬ সালের ২৭ রজবের রাত।
ফ্রান্স শবে মেরাজ কত তারিখে 2025
২০২৫ সালে শবে মেরাজ ফ্রান্সের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে। ২৬ জানুয়ারির রাতটি শবে মেরাজের জন্য নির্ধারিত। যদিও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে চাঁদ দেখার তারতম্যের কারণে শবে মেরাজ পালনের তারিখে পার্থক্য থাকতে পারে।
তবে, ফ্রান্সে এটি সাধারণত চাঁদ দেখা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তাই ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতেই ফ্রান্সের মুসলিমরা শবে মেরাজ পালন করবেন।
শবে মেরাজের গুরুত্ব এবং পালন
শবে মেরাজ রাতটি মহানবী (সা.)-এর বিশেষ মিরাজ যাত্রার স্মরণে পালিত হয়। এই রাতে তিনি সাত আসমান পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছান এবং নামাজের আদেশ নিয়ে আসেন।
ফ্রান্সের মুসলিমরা এই রাতে নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অনেক মসজিদে বিশেষ দোয়া ও ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ এম্বাসি ফ্রান্স ঠিকানা, ফ্রান্স এম্বাসি বাংলাদেশ ঠিকানা, দূতাবাস অ্যাপয়েন্টমেন্ট
ফ্রান্সে শবে মেরাজ পালন
ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলিমরা এই রাতটি ঘরোয়া পরিবেশে বা মসজিদে ইবাদতের মাধ্যমে উদযাপন করে থাকেন। শবে মেরাজ উপলক্ষে ফ্রান্সের বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ধর্মীয় আলোচনার আয়োজন করে। চাঁদ দেখার সময় অনুযায়ী তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় মুসলমানরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়।
উপসংহার
ফ্রান্সের মুসলমানরা শবে মেরাজের এই রাতটি গভীর ধর্মীয় অনুভূতি ও ইবাদতের মাধ্যমে পালন করেন। ২০২৫ সালে ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে শবে মেরাজ পালিত হবে। এই রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও ইবাদত করার মাধ্যমে জীবনের সাফল্য ও শান্তি অর্জনের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।